January 2, 2025, 8:31 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আপাতত ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই ইউক্রেনের। মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে দুইদিনের সভা শুরুর মধ্যেই হোয়াইট হাউজ থেকে এ ধরনের বক্তব্য এসেছে।
এদিকে, পাল্টা আক্রমণে ২৬ হাজার সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন, দাবি রাশিয়ার। জুনের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। পাল্টা আক্রমণে নেমে ইউক্রেন ২৬ হাজার সেনা হারিয়েছে। এছাড়া ৩ হাজারেরও বেশি সামরিক যান ও সরঞ্জামাদি হারিয়েছে ইউক্রেন।
সূত্র জানায়, ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেন ইস্যু প্রাধান্য পায়। কিন্তু দেশটিকে সদস্যপদ দেয়য়ার ব্যাপারে কিছু সমস্যঅ সামনে চলে আছে। তার মানে হলো, যদি ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হয়ে যায় তাহলে ন্যাটোকে শর্তানুযায়ী রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে হবে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির পক্ষে কোন সদস্য দেশই যেতে চাইবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কৌশলগত যোগাযোগসংক্রান্ত জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের সমন্বয়ক জন কিরবির বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অচিরেই ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
জন কিরবি বলেন, ‘আমরা মনে করি ন্যাটোতেই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ। আমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছি, এ বিষয়ে জোটের সদস্যরা ২০০৮ সালেই একমত হয়েছেন। এখন দেশটির কিছু সংস্কারের প্রয়োজন হবে—সুশাসন, আইনের শাসন ও রাজনৈতিক সংস্কার। এসব বিষয়ে ইউক্রেনকে কাজ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জন কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, আপনি যখন যুদ্ধের মধ্যে থাকবেন, এ ধরনের কিছু সংস্কারের বিষয়ে কাজ করাটা কঠিন। তারা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তাদের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, এটি ন্যাটোকে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে পারে।’
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে গত ৪ জুন থেকে ইউক্রেন প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এই সময়ে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের ২১টি বিমান, পাঁচটি হেলিকপ্টার, ১ হাজার ২৪৪টি ট্যাঙ্কসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যান, জার্মানির তৈরি ১৭টি লেপার্ড ট্যাঙ্ক, ফ্রান্সের তৈরি পাঁচটি এএমএক্স ট্যাঙ্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ১২টি ব্রাডলে সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে। একইসঙ্গে রাশিয়ার বাহিনী ৯১৪টি স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধাস্ত্র, দুইটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ২৫টি মাল্টিপল রকেট উৎক্ষেপণ সিস্টেম, ৪০৩টি আর্টিলারি কামান এবং মর্টার অপসারিত করেছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৭৬টি হিমার্স রকেট ভূপাতিত করেছে, ২৭টি স্ট্রম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল এবং ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৪৮৩টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
রাশিয়া এই দাবি করলেও ইউক্রেন এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
জুনের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। কিন্তু এতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি ইউক্রেন।
Leave a Reply